‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সংগঠনকে সাংগঠনিক নির্দেশনা দিল ছাত্রলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২৬, ২০২২, ০৭:৫২ এএম

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সংগঠনকে সাংগঠনিক নির্দেশনা দিল ছাত্রলীগ

আসছে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকেস্মার্ট বাংলাদেশরূপান্তরে কাজ করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য সংগঠনকে স্মার্ট করতে সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। রবিবার ছাত্রলীগ এসব সাংগঠনিক নির্দেশনা দেয়।

সাংগঠনিক নির্দেশনাগুলো হলো:

. সংগঠনের ব্যানার, পোস্টার অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ব্যতীত অন্য কোনো ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

. জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সম্মেলন ব্যতীত তাদের অধীনস্থ কোনো ইউনিটের কমিটি গঠন করবে না। যে সকল ইউনিটের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের কেন্দ্র/সংশ্লিষ্ট ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমাদানের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সংখ্যার অধিক সদস্য নিয়ে কোনো ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে না।

৩. গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সময়ে প্রতিটি ইউনিটকে অবশ্যই নিয়মিত নির্বাহী সভা আয়োজন করতে হবে।

.সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নেতৃবৃন্দকে অবশ্যই নিজ নিজ ইউনিটে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকতে হবে এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে উত্তরোত্তর গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

. সকলস্তরের নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রচার করবে এবং দেশবিরোধী সকল অপচেষ্টা গুজব-প্রোপাগাণ্ডার সমুচিত জবাব দিবে।

. বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসাসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ বজায় রেখে সাংগঠনিক কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

.স্মার্ট বাংলাদেশবিনির্মাণের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেস্মার্ট ক্যাম্পাস’- রূপদান করতে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী উপায়ে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক কর্মসূচি হাতে নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন
করতে হবে।

. স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি, মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টরা যেন নামে-বেনামে শিক্ষার্থী তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সে লক্ষ্যে উপযুক্ত সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সাহিত্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।

. শিক্ষার্থী তরুণ প্রজন্মকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে নানামুখী উৎসব, প্রতিযোগিতা, সেমিনার, কর্মশালা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিতে হবে।

১০. জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণ, বায়ু-পানি-মাটি-পরিবেশ-শব্দ দূষণ রোধে ভূমিকা রাখা; অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ, জ্বালানি সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস-তেলের ব্যবহারে যত্নশীল হওয়া; বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সাংগঠনিক ব্যক্তিগত পর্যায়ে মিতব্যয়ী হওয়াসহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিটি ইউনিট শিক্ষার্থী তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে।

Link copied!