আগস্ট ৯, ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
প্রতিশোধের নীলনকশা নিয়ে স্বৈরাচারের দোসররা মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তার অভিযোগ, “আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ওপর চাপাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যাপক আকারে ব্যবহার করছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী একটি দেশের কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্মগুলিকে ব্যবহার করছে চিহ্নিত একটি মহল।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসানালয়কে বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। বিজয়ী সব শক্তি তথা জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায়ও তারা মরিয়া হয়ে লেগেছে।”
সাংগঠনিক ও আইনি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন তথা সর্বস্তরের সব নাগরিক সজাগ আছেন। আমাদের দল বিএনপি এরই মধ্যে আমাদের সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ নিয়ে চলছে। দলের নাম ব্যবহার করে যারাই এই ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়বে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিবৃতিতে দেশি-বিদেশি সব সহায়ক শক্তিকে ‘স্বৈরাচার ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে’ সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “পরিস্থিতি ও পরিবেশের গভীরতা অনুভব করে দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি সব সহায়ক শক্তিকে আবারও সজাগ করতে চাই পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে। বিশেষভাবে আহ্বান করতে চাই, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের। আহ্বান রাখছি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার যার স্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।”