টানা ১০ দিন পর দেশ জুড়ে চালু হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। যদিও এর আগেই চালু হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। তবে ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও এর গতি অনেকাংশই কম। এরই মধ্যে আবার ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে অনেক গ্রহীতাই ভিপিএন ব্যবহার করেছেন। কারণ ফোর-জি ইন্টারনেটের যুগে এসে টু জি বা থ্রি জির ইন্টারনেট গতি অনেকের কাছেই অপছন্দের হবে, এটাই স্বাভাবিক।
তবে আপনি জানলে অবাক হবেন ভিপিএন ব্যবহারে যেমন সুবিধা আছে। তেমন অসুবিধার মধ্যেও পড়তে পারেন পদে পদে।
ভিপিএনের পূর্ণরূপ হলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। অর্থ্যাৎ ইন্টারনেটের একটি ভার্চুয়াল টানেল বা সুড়ঙ্গ। বিশদ অর্থে এই যে, একজন গ্রহীতা নেটওয়ার্ক সুবিধা পেতে যখন ভিপিএন ব্যবহার করেন, তখন নেটওয়ার্কটি তার কাছে থাকা ভিপিএন বা ভার্চুয়াল সুরঙ্গটি দ্বারা ভিন্ন একটি অঞ্চলে অবস্থিত প্রাইভেট নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত হয়ে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ফোর-জি থাকলেও চলছে না মোবাইল ইন্টারনেট!
এ ক্ষেত্রে ভিন্ন অঞ্চলের প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে সেবা গ্রহীতাকে স্বশরীরে ওই অঞ্চলে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে না। শুধুমাত্র একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভার্চুয়ালই ওই অঞ্চলের প্রাইভেট নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়ে ব্যবহার করতে পারছে, তাই এর নাম ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন।
এবার আসি ভিপিএন ব্যবহারে একজন গ্রহীতা যেসব অসুবিধার মধ্যে পড়তে পারেন।
ভিপিএন দিয়ে সার্চ করলে, মুহুর্তেই আপনার স্ক্রীনে চলে আসবে নানান ভিপিএন সফটওয়্যার ও অ্যাপ। ভিন্ন ভিন্ন এসব ভিপিএন সেবায় নিরাপদ বা নিরাপত্তা সুবিধার কথা উল্লেখ থাকে। তবে অনেক সময় এসব ব্যবহারের ঝুঁকি থাকে। যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে ব্যবহারকারীর ডেটা যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা। তাছাড়া ভিপিএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগের গতি কমে যায়। কেননা, ভিপিএন বিভিন্ন দুর্গম সার্ভারের মধ্য দিয়ে ডেটা পাঠায়। তাছাড়া, অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর কাছে ভীতিকর হতে পারে একটি ভিপিএন সেটআপ বা কনফিগার করা।
ভিপিএন ব্যবহার করতে কি অর্থ খরচের প্রয়োজন রয়েছে? এমন প্রশ্ন নিশ্চই মনে মধ্যে এসেছে।
এরই মধ্যে অনেকেই ফ্রি ভিপিএন ডাউনলোড করেছেন। তবে বিনামূল্যে এসব ব্যবহার করতে পারলেও, প্রিমিয়াম শ্রেণির ভিপিএন ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে খরচ হবে নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা। তবে এতে উন্নত ফিচার ও উচ্চগতির সার্ভার সুবিধাও পেয়ে থাকেন সেবা গ্রহীতারা।
তবে সুবিধাও কিছু রয়েছে বিভিন্ন ব্যবহারে।
ভিপিএনের মাধ্যমে যেহেতু প্রাইভেট নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া যায়, তাই ভিপিএন গ্রাহকরা পাবলিক নেটওয়ার্কের আওতায় থেকেও ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রাইভেট নেটওয়ার্কে সব সুবিধা পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী তার ইন্টারনেট ব্যবহারের তথ্যাদি গোপন ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন। অর্থাৎ নিরাপদ সংযোগ থেকে ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট ডাটায় অন্য কারও মনিটরিং বা ব্যাঘাত ঘটানোর বিষয়টি দেখভাল করে ভিপিএন। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিজের আইপি অ্যাড্রেস ও ভৌগোলিক অবস্থান গোপন রাখার সুযোগ পান।