নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন : পরীমণি

শোবিজ ডেস্ক

নভেম্বর ২৫, ২০২৩, ০৬:৩৫ এএম

নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন : পরীমণি

খুব ছোটবেলায় বাবা মা হারানোর পর ছোট্ট পরীমণিকে যে মানুষটি আগলে রেখেছিলেন, যার অকৃত্রিম ভালোবাসাতেই বড় হয়ে ওঠেন সেই ছোট্ট পরী, তিনি পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী।

সেই প্রানপ্রিয় নানাকে হঠাৎ হারিয়ে একা হয়ে গেছেন পরীমণি। নানাকে হারানোর পর সে বেদনা আজ ফেসবুকে ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন এ অভিনেত্রী।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পরীমণি তার ফেসবুকে ৪টি ছবি পোস্ট করে একটি স্ট্যাটাস দেন। 

ছবিগুলোতে দেখা যায় পরীমণি সাদা পোশাকে তার নানার কবরের পাশে বসে আছেন। পোস্ট করা সেই ৪ ছবির সঙ্গে একটি আবেগী লেখাও জুড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।

দ্য রিপোর্টের পাঠকের জন্য চিত্রনায়িকা পরীমণির সেই পোস্টটি তুলে ধরা হলো-

‍‍`এই কবর স্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন।

এই জীবনে আমার নানার মতন কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কি ছিলো।

আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিলো আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে।

এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া।

কতো ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কতো শান্তনায় রেখে গেলো আমাকে।

জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর….❤️‍‍`

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২ টা ১১ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী। তাকে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের শিংখালীতে দাফন করা হয়।
 

Link copied!