মার্চ ২১, ২০২৩, ০২:৫২ এএম
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রহমত উল্লাহ নামে এক প্রযোজক অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পি সমিতিসহ চারটি সংগঠনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরই নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমেও যখন চলছে আলোচনা-সমালোচনা,ঠিক তখনি শাকিব খানকে নিয়ে একাধিক পোস্ট দিয়ে চলেছেন তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী শবনম ইয়াসমিন বুবলি।
সোমবার বিকেলে এক স্ট্যাটাসে বুবলি জানিয়েছে, ‘কয়েক বছর ধরে দেখছি, একটা চক্র কিছুদিন পর পরই শাকিব খানকে নিয়ে ওঠেপড়ে লাগে। নানা চক্রান্তে মেতে ওঠে। বিষয়টা যেন এমন, তাকে হটিয়ে দিতে পারলেই আমরা রাজা। কিন্তু তার লাখো কোটি ভক্তরা কখনোই তা হতে দেয়নি। দিবেও না। সবসময়ই তারা তাকে আগলে রাখে। শক্তি দিয়ে এগিয়ে নেয়।’
সোমবার বুবলির ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসটি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেওয়া হলো।
‘শাকিব খান একজন অভিনয়শিল্পী যে কিনা প্রায় ২৪ বছর এই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করেছেন, অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, সিনেমা নিয়ে ভেবেছেন।
হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের ইস্যু এনে তাকে নিয়ে নানান বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে!
অনেক বছর আগের অপারেশন অগ্নিপথ নামের একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন শাকিব খান এর ব্যাপারে বিস্তর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে প্রডিউসার দাবি করে এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে নানান অভিযোগ করছেন...
আচ্ছা শুটিং চলাকালীন এতো এতো অভিযাগ যখন টের পেয়েছিলো উনারা, তাহলে কেনো তখন তাকে বাদ দেয়া হলো না? সমিতিগুলোতে অভিযোগ করা হলো না? দু-পক্ষের কথা শোনা হলো না?
২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়ায় অপারেশন অগ্নিপথ শুটিং এর পর ২০১৮ সালে শাকিব খান তার সুপার হিরো নামের আরেকটি সিনেমার শুটিং সম্মানের সাথে প্রায় ২০ দিনে অস্ট্রেলিয়া থেকে শেষ করে আসেন..
উনি যদি কোনো ব্যাপারে Guilty থাকতেন তাহলে তো অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ তাকে তখন শুটিং এর permission ই দিতেন না, শাকিব খান নিজেও অস্ট্রেলিয়া যেতেন না।..
তার খাবার খাওয়া নিয়ে বলা হচ্ছে , উনি কি ডায়মন্ডের খাবার খেতেন যেটা নিয়েও অভিযোগ যে, অনেক expense হতো!
মধ্যরাতে তার হোটেল রুমে নারী সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে বলা হচ্ছে , মধ্যরাতে তার হোটেল কক্ষে নারী কি করছিলেন? কি তার বা তাদের উদ্দেশ্য ছিল?
এতো বছর কেনো ওসব ঘটনা নিয়ে সেই নারী প্রকাশ্যে কথা বললেন না! এখন কেনো এই প্রডিউসার দাবি করা ব্যক্তি অস্থির হয়ে গেলেন? আর দেশে হোক বা বিদেশে! যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে, খাতায় নাম উঠতেই পারে, কিন্তু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, উভয় পক্ষের প্রমানাদি নিয়ে ...
কথা হলো, হঠাৎ এতো অভিযোগের ভান্ডার কেনো? কি চাচ্ছে ? শিডিউল ? মুভি শেষ করে দেয়া? আমার জানামতে শাকিব খান অপারেশন অগ্নিপথের শিডিউল কয়েকবারই দিয়েছেন, কিন্তু শুটিং হয়নি ...
এখনও যদি শিডিউল চাওয়া হয় সিনেমা শেষ করতে, উনি অবশ্যই শিডিউল দিবেন, কারন সে পেশাগত জায়গায় যথেষ্ট ডেডিকেটেড, তা নাহলে ২৪ বছর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারতেন না কারন একজন সফল শিল্পী একদিনে তৈরি হয়না।
কয়েক বছর ধরে দেখছি, একটা চক্র কিছুদিন পর পরই শাকিব খানকে নিয়ে ওঠেপড়ে লাগে। নানা চক্রান্তে মেতে ওঠে। বিষয়টা যেন এমন, তাকে হটিয়ে দিতে পারলেই আমরা রাজা। কিন্তু তার লাখো কোটি ভক্তরা কখনোই তা হতে দেয়নি। দিবেও না। সবসময়ই তারা তাকে আগলে রাখে। শক্তি দিয়ে এগিয়ে নেয়।
Just remember, Once a king always a king!
Once a superstar always a superstar!!
এর আগে, গতকাল রবিবারও এক স্ট্যাটাস দেন বুবলি।
ওই স্ট্যাটাসে বুবলি লিখেন,‘২০১৮ সালে হার্টবিট কথাচিত্র প্রযোজিত “সুপারহিরো”
সিনেমার শুটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ায় নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) রাজ্য সরকারের তখনকার সংস্কৃতিমন্ত্রী রে উইলিয়ামস রাজ্য সংসদ ভবনের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খানসহ আমাদের মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন..
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তখনকার সড়ক ও নৌপথমন্ত্রী মেলিন্ডা পেভে, স্থানীয় ফর্মার কাউন্সিলর মোহাম্মদ জামান, ক্যান্টারবেরি ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলর সাজেদা আক্তার সানজিদা, কনসালটেন্ট রেমন্ড সোলায়মান, পরিচালক আশিকুর রহমানসহ অনেকে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর আতিথেয়তায় আমরা বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম।
ছবিটির অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের শুটিংয়ের ব্যাপারে তারা অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছি। “সুপার হিরো” ছবির মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান আমাদের দর্শকদের সামনে তুলে ধরছি, এর জন্য দুজন মন্ত্রী আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো সহযোগিতা করার আশ্বাস তাঁরা দিয়েছেন।’