এক সপ্তাহের লকডাউনে জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প পরিসরে ও শর্তসাপেক্ষে টিভি নাটকের শুটিং চালাতে পারবে প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা; তবে শুটিংয়ে কোনও বাধা না থাকলেও বন্ধ থাকছে দেশের সব সিনেমা হল।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সামাল দিতে বুধবার থেকে এক সপ্তাহ সব ধরনের অফিস ও পরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লকডাউনে দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ থাকবে বলে বিডিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান হল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন।
চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণের বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে কেউ যদি শুটিং করতে চান তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। এখন শুটিং না করায় ভালো বলে মনে করি।”
নাটকের শুটিংয়ের বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে টিভি নাটকের পাঁচ সংগঠনের এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, লকডাউনে সকল প্রকার চিত্রধারণের কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার ব্যাপারে আন্তঃসংগঠন একমত পোষণ করলেও জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প পরিসরে ছয় শর্তে টিভি নাটকের শুটিং করতে পারবেন প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা।
এক.
আন্তঃসংগঠনের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে কাজ করতে হবে।
দুই.
দৃশ্যধারণের আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান শিল্পী-কলাকুশলীদের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ ও শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অবহিত থাকবেন।
তিন.
করোনাভাইরাসের তীব্রতার মধ্যে পরিস্থিতি বিচারে কোনও শিল্পী, কলাকুশলীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চিত্রধারণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে জোর করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও শিল্পী সঙ্গত কারণ দেখিয়ে চুক্তিবদ্ধ কাজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারবেন।
চার.
ঢাকা শহর অথবা ঢাকার বাইরে চিত্রধারণে সংশ্লিষ্ট ইউনিট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিল্পী-কলাকুশলীদের আনা-নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যবস্থা করবেন।
পাঁচ.
সদস্যবৃন্দের যেকোনও পরিস্থিতি এড়াতে নিজ নিজ সংগঠনে পরিচয়পত্র সাথে রাখবেন।
ছয়.
যেহেতু প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে, অতিব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। বিধায় জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত চলাচলের অনুমত্রিপত্র (মুভমেন্ট পাস) নিয়ে বের হবেন।
ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও), টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর (টেলিপ্যাব), ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয়শিল্পী সংঘ ও নাট্যকার সংঘ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে প্রায় সাত মাসের জন্য দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ ছিল। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে হল খোলার অনুমতি দিয়েছিল সরকার।