আবারো আলোচনায় এলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেন ঢালিউডের এই নায়ক।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে মামলা করার পর আদালত বাদী শাকিব খানের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
জবানবন্দিতে শাকিব খান বলেন, “রহমত উল্লাহ টেলিভিশনে তার নামে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি হঠাৎ করে আসেন, হঠাৎ করে বক্তব্য দিয়ে পালিয়ে যান।”
রহমত উল্লাহ’র অভিযোগ অস্বীকার করে শাকিব খান বলেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে তিনি কখনও পালিয়ে আসেননি। ওই দেশে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। তার নামে কোনো মামলাও হয়নি বলেও জানান শাকিব খান।
এর আগে, গত ২৩ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি ও চাঁদাবাজি এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে নালিশি মামলা করেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
এর আগে, গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
ওই সিনেমায় অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, নারী প্রযোজককে ধর্ষণ এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতিসাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে ওই অভিযোগ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন সিনেমাটির প্রযোজক।
অভিযোগকারী প্রযোজক বলেন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অন্যায় শাকিব করেছেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নারী প্রযোজককে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ওইসময় তাকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত থাকার সময় শাকিব খান কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে দেশে ফিরে আসেন।
প্রযোজক রহমত উল্লাহ আরও বলেন, শাকিব খান ২০১৮ সালে ফের অস্ট্রেলিয়ায় আসলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান বলে দাবি করেন রহমতউল্লাহ।
ওই প্রয়োজক অভিযোগ পত্রে আরও জানান, অস্ট্রেলিয়ায় তার ছবির শ্যুটিং চলাকালে শাকিব খানকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো। আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এই ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এই সকল যৌনকর্মীদের মোটা অংকের পারিশ্রমিক প্রযোজককে দিতে হতো। শাকিব খান সম্পর্কে এমন সব বিষ্ফোরক অভিযোগ আনেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
তবে এসব অভিযোগকে বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন ঢালিউডের নাম্বার ওয়ান এই নায়ক।