আসছে অক্টোবরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মধুমতির নদীর ওপর দেশের প্রথম ছয়লেন বিশিষ্ট কালনা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতৃমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার মধুমতী সেতু পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “সেতুর উদ্বোধনের দিনক্ষণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলেই জানিয়ে দেবেন, ইতোমধ্যেই সেতুর সামারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং তিনি সই করেছেন।”
মধুমতী সেতু হচ্ছে পদ্মার মিসিং লেন; পদ্মাসেতুর সুবিধা পেতে হলে মধুমতী সেতু নির্মাণ করতেই হতো বলেও তিনি জানান।
গোপালগঞ্জ, নড়াইলসহ আশপাশের ১০ জেলার লাখো মানুষের বহুল প্রত্যাশিত এই সেতুটির পূর্বপাড়ে কাশিয়ানী উপজেলা ও পশ্চিমপাড়ে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা। সেতুটি চালু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্যে প্রসার ঘটাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছয় লেনের এ সেতুর চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির ও দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে। ৬৯০ মিটার দৈঘ্যের ও ২৭ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থের সেতুটির উভয় পাশের সংযোগ সড়ক ৪ দশমিক ২৭৩ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৩০ দশমিক ৫০ মিটার।
কালনা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হচ্ছে ৯৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেতুর কাশিয়ানী পাশে ডিজিটাল টোল প্লাজা স্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে, সেতুর মাঝখানে বসানো হয়েছে ১৫০ মিটার দীর্ঘ স্টিলের স্প্যান।