বাংলা নববর্ষ উদযাপনে দীর্ঘতম আল্পনা করা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আল্পনার রং পানিতে মিশে হাওরের পরিবেশ ক্ষতি করতে পারে এই নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে আল্পনার রং পানিতে মিশে হাওরের জলজ বাস্তুতন্ত্রের মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মত দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এমন অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে ও পরিবেশসম্মত প্রক্রিয়ায় এই রং অপসারণের সুপারিশ করেছেন তারা।
গত রোববার পরিবেশ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জ সরেজমিন পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মতিন স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে।
আল্পনা আঁকার আগে সরকারি কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া হয়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযোগ, আলপনা অঙ্কনের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর তো নয়ই, রাস্তাটি যে সংস্থার অধীনে সেই সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগেরও অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়েই বৈশাখের এই আল্পনা করেছে বেসরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিবেদনে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে:
১. রাস্তায় করা এই আলপনার রঙ হাওরে পানির স্বচ্ছতা নষ্ট হবে;
২. অস্বচ্ছ পানির গভীরে সূর্যের আলো পৌঁছাতে না পারায় জলজ বাস্তুতন্ত্র মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে;
৩. হাওরের সুরক্ষায় যে কোনো পরিবেশসম্মত প্রক্রিয়ায় সড়কে অঙ্কিত আলপনার রং দ্রুত অপসারণ করতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়।
হাওরের সড়কে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা অঙ্কনের কাজটি বাস্তবায়ন করে বার্জার পেইন্টস, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন ও এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েন্সিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড।