হুমকি দিলেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা

‘অন্য প্রার্থীর এজেন্ট এলে হাত ভেঙে যমুনায় নিক্ষেপ করবো’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম

‘অন্য প্রার্থীর এজেন্ট এলে হাত ভেঙে যমুনায় নিক্ষেপ করবো’

ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে নিজেদের প্রার্থী ছাড়া (আনারস) অন্য প্রার্থীর এজেন্টকে কোনো কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাইদুল হাসান সাঈদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয় নামে আওয়ামী লীগের দুই নেতা। হুমকি দিয়েছেন, অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে এলে হাত ভেঙে যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করা হবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই দুই নেতার ভিডিও ক্লিপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে এই হুমকির দেওয়ার ফলে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সামনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের (আনারস প্রতীক) নির্বাচনী পথসভায় এসব মন্তব্য করা হয়।

হুমকিদাতা ওই দুই নেতার পরিচয়- উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাঈদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়। পরে তাদের বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে নির্বাচন নিয়ে আতঙ্ক দেখা দেয়।

অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাঈদকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তাদের জবান আমরা বন্ধ করে দেবো। আমরা আগামী ৮ মের নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থাকবো, আমরা অন্য কোনো মার্কার কোনো এজেন্ট দিতে দেবো না। রফিক সাহেবকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আজকেই ঘোষণা দিলাম।’

তিনি প্রতিপক্ষের লোকদের হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘সাবধান হয়ে যান, আমাদের মাঝে অসন্তোষ ও হানাহানির চেষ্টা করবেন না। আপনাদের দাঁত ভেঙে দেওয়া হবে। যাদের দাঁত নেই, তাদের চাপার হাড্ডি ভেঙে দেওয়া হবে।’

পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয় একই সভায় বলেন, ‘অন্য কোনো মার্কার এজেন্ট কোনো কেন্দ্রে দিতে দেবো না। এজেন্ট দিলে তার হাত বাড়ি দিয়ে ভেঙে আমরা যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করবো।’

পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। হুমকির বিষয়টি জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাঈদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়ের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

জামালপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি জানিনা। তবে প্রমাণ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’

Link copied!