স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক দাপ্তরিক আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপ-পরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন হলেন সহকারী পরিচালক। এর মধ্যে তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কার্যকর হয়। এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্যান্য চাকরিতে যোগ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন তারা। চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩, সিলেট অফিসে ২ এবং রাজধানীর মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশের অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
২০২২ সালের আগ পর্যন্ত ৩ বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ শূন্য থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন ১-৩ মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেয়া হয় না।