বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১১, ২০২২, ০৩:২০ পিএম

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান  প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ ১১ জুন। সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের এই দিন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান শেখ হাসিনা। সেনাসমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১/১১-এর অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গণতন্ত্রের মানসকন্যা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিজ বাসভবন সুধা সদন থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে। ছবি: সংগৃহীত

এতে আরও বলা হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবরুদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় তৎকালীন অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কারাগারে থাকাকালে জননেত্রী শেখ হাসিনা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেসময় চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন, আপসহীন মনোভাব এবং অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।

নিজ বাসভবন সুধা সদন থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে। ছবি: সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হারানো স্বপ্ন ও সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিতার মতো আপসহীন মনোভাব নিয়েই জাতীয় রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যাত্রা শুরু হয়। জনগণের মুক্তি আন্দোলনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অসংখ্যবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে উল্লেখ করে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিতে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে পথ চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সকল বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় উজ্জ্বল এ দেশের জনগণের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

কারামুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে আজ বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গণভবনে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

প্রসঙ্গত, ১/১১-এর অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। ছাড়া পেয়েই চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন পান শেখ হাসিনা।

এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তিনি টানা তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

 

Link copied!