ফেসবুক, টিকটকসহ শীর্ষ ৯ প্রযুক্তি কোম্পানিতে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিনীরা। অনলাইন কর্মকাণ্ড কতটুকু নজরদারি হচ্ছে এটি নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে ব্যবহারকারীদের। তবে উদ্বেগ ও অসন্তোষ থাকলেও বিকল্প না থাকায় এসব সেবা ব্যবহার করছেন গ্রাহকরা।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও স্কার স্কুলের যৌথ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে দেখা গেছে, আস্থাহীনতায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে ফেসবুক। এরপরেই চীনের বাইটড্যান্স মালিকানাধীন সংক্ষিপ্ত ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। তবে চাইলেও এসব সেবা ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে পারছেন না তারা। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারের কঠোর নীতিমালা দাবি করছেন ব্যবহারকারীরা।
গত নভেম্বরে এক হাজার ১১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকের ওপর এ জরিপ চালায় প্রতিষ্ঠান দুটি। ব্যবহারকারীরা বলছেন. প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখবে, এটি তারা বিশ্বাস করেন না। বিশেষ করে ফেসবুককে মোটেই বিশ্বাস করেন না অধিকাংশ মার্কিনী।
জরিপে শীর্ষ ৯টি কোম্পানির নাম উল্লেখ করে ব্যক্তিগত তথ্য ও ডাটার সুরক্ষা নিয়ে ব্যবহারকারীদের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। জরিপে অংশ নেওয়া ৭২ শতাংশ জানান, ফেসবুকে তাদের তেমন আস্থা নেই কিংবা মোটেই আস্থা নেই। ৬৩ শতাংশের আস্থাহীনতা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে টিকটক। তৃতীয় ও চতুর্থ অনাস্থার কোম্পানি ফেসবুক মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ। পরবর্তী শীর্ষ চার কোম্পানি হচ্ছে ইউটিউব, গুগল, মাইক্রোসফট ও অ্যাপল। শীর্ষ ৯ কোম্পানির মধ্যে অ্যামাজন নিয়ে মাত্র ৪০ শতাংশ মার্কিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জরিপে অংশ নেওয়া ৯০ শতাংশই মনে করেন ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে ইতিবাচক প্রভাব নেই। উল্টো ৫৬ শতাংশ মনে করেন, সমাজে নেতিবাচক প্রভাব রাখছে ফেসবুক। এছাড়া ৭০ ভাগ ব্যবহারকারী মনে করেন, তাদের সম্মতি ছাড়াই অবৈধভাবে ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস ব্যক্তিগত ডাটা সংরক্ষণ ও ব্যবহার থাকে।
তথ্য: সমকাল অনলাইন