ইউক্রেনে রুশ হামলা পুতিনের ‘বড় ভুল’: ন্যাটো মহাসচিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্চ ২৪, ২০২২, ১১:৩২ পিএম

ইউক্রেনে রুশ হামলা পুতিনের ‘বড় ভুল’: ন্যাটো মহাসচিব

প্রতিবেশি দেশ ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বড় ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর আটলান্টিক সামরিক নিরাপত্তা জোট-ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে তিনি একথা বলেন।

আরও পড়তে পারেন-ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনারা যুদ্ধাপরাধ করছেন: যুক্তরাষ্ট্র

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে ন্যাটো মহাসচিব বলেন, “স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে হামলা চালিয়ে পুতিন অনেক বড় ভুল করছেন। পুতিন ইউক্রেনের মানুষ ও সেনাদের শক্তি-সাহসকে অবমূল্যায়ন করছেন।”

স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের নেতারা দীর্ঘমেয়াদে এটির প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষার বিষয়গুলো নতুনভাবে সাজানোর বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন।

ন্যাটো মহাসচিব আরও বলেন, পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন সামরিক ন্যাটো তার পূর্বাঞ্চলীয় মিত্র দেশগুলোতে আরও বড় ধরনের সামরিক বহর পাঠাতে যাচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন: ‘অবন্ধু’ দেশকে রুবলে শোধ করতে হবে গ্যাসের মূল্য, জানালেন পুতিন

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়া হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়ার জন্য ন্যাটো এসব অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করবে। রাসায়নিক, জৈবিক এবং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ইউক্রেনের জন্য আরও বিভিন্ন সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন ন্যাটো মহাসচিব।

প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের ২৯ তম দিন বৃহস্পতিবার রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী।

Link copied!