৬ মাস বন্ধ থাকবে শাহজালাল বিমানবন্দরের রাতের ফ্লাইট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ১০, ২০২১, ০৬:১৯ পিএম

৬ মাস বন্ধ থাকবে শাহজালাল বিমানবন্দরের রাতের ফ্লাইট

আগামী ৬ মাস রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাতের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে সংস্কার কাজের জন্য বিমানবন্দরে প্রতিদিন রাতে ৮ ঘণ্টা উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এ পরিস্থিতি চলবে আগামী ছয় মাস।

এমন সিদ্ধান্তে, আগে থেকেই ওই সময়ের ফ্লাইট সময়সূচি (শিডিউল) পুনর্বিন্যাস করা হয়। এতে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রথম দিনই বিমানবন্দরে যাত্রী ব্যবস্থাপনায় ছিল বাড়তি চাপ। মালামাল নেওয়ার ট্রলিরও সংকট দেখা গেছে।

এর আগে, এক মাস আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছিল, সংস্কারকাজের জন্য ১০ ডিসেম্বর (গতকাল) থেকে ২০২২ সালে ১০ জুন পর্যন্ত বিমানবন্দরে রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নির্মাণকাজের অংশ হিসেবে হাইস্পিড কানেক্টিং ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণকাজ চলবে। পাশাপাশি একই সময়ে লাইটিং সেক্টরের কাজ চলবে। তবে বিমানবন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম চলবে। এ সময় জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হলে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করা যাবে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন ২৭টি এয়ারলাইনসের ৮৫ থেকে ৯০টি ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে ওঠানামা করে। এসব ফ্লাইটে গড়ে ১০ হাজার যাত্রী অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন।

এয়ারলাইনসগুলো বলছে, ৮ ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকায় রাত ও ভোরের সময়সূচি আগে-পরে করে দিনে আনা হয়েছে। এতে যাত্রী ও আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনায় চাপ পড়বে।

গতকাল বিকেলে বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালের বাইরে আগমন ও বহির্গমন—সবখানেই যাত্রী ও স্বজনদের ভিড়। সন্ধ্যার দিকে এই ভিড় আরও বাড়ে।

শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীসেবার জন্য বিমানবন্দরে প্রায় ২ হাজার ২০০টি ট্রলি আছে। এর মধ্যে ১ হাজার ট্রলি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। যাত্রীরা যাঁরা ট্রলি নিচ্ছেন, কয়েক ঘণ্টা সেগুলো দখল করে রাখছেন। যাত্রীর চাপ বাড়ায় সমস্যাটি বেশি হচ্ছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসান বলেন, বেবিচকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাত ও ভোরের ফ্লাইটগুলো দিনের অন্যান্য সময়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে প্রতি ঘণ্টায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দুটি ফ্লাইট বাড়তি পরিচালনা করা হচ্ছে।

অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক জানান, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আগেও এর চেয়ে বেশি চাপ সামাল দিয়েছে।

Link copied!