ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ০৫:৪৭ পিএম
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে দলটির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তাকে আটক করে প্রিজনভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
এ সময় ফটকের সামনে বসে অবস্থান করছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এ ছাড়া আরও কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে বিএনপি দাবি করেছে।
মির্জা ফখরুল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি অনুরোধ করে বলব—সবাই যেন ধৈর্য্যসহ অপেক্ষা করেন।’
এর আগে, বিকেল তিনটার দিকে নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের কথা কাটকাটি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় পালটাপালটি ধাওয়া। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন এই সংঘর্ষ শুরু হলো।
তিনি জানান, সকাল থেকেই পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে।এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, পুলিশ তাদের ওপর অহেতুক লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
প্রসঙ্গত, আসছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নয়াপল্টন এলাকা। বিএনপি চায় তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে। কিন্তু পুলিশ বলছে, রাস্তায় সমাবেশ করা যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিলেও বিএনপি নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের দাবিতে অটল রয়েছে।