জার্মানির ভাইল আম রাইন শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো হ্যালো ররোবট প্রদর্শনী। শহরটির ভিট্রা ডিজাইন মিউজিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে রোবট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে উত্তেজনা - ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানের কিউরেটর ছিলেন অস্ট্রিয়ার আমালি ক্লাইন৷ তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার প্রায় সবকিছুতেই প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে৷ এটা অনেকটা রংয়ের স্তরের মতো৷ এটা হয়ে গেছে৷ এটা আর ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়৷ বোতল থেকে জ্বিন বেরিয়ে গেছে৷ তাই ব্যক্তি হিসেবে আমরা এবং সমাজ কীভাবে প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নেবো, তা খুঁজে বের করতে হবে৷''
বুদ্ধিমান যন্ত্র ছাড়া এখন শিল্পজগতের কথা ভাবাই যায় না৷ মানুষ ও রোবটের মধ্যে সম্পর্ক এখন ইউটোপিয়া ও ডিস্টোপিয়ার মধ্যে দুলছে৷ একদিকে প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত জীবনযাপনের আশা করা হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষের কাজ হারানোর আশঙ্কাও রয়েছে।
ক্লাইন আরও বলেন, ‘‘মেনিফেস্টো লিখতে পারে এমন একটা রোবট আছে। যার সম্পর্কে আমরা রাজনীতি বা আর্টের জগত থেকে জানি৷ তকে সে কি লিখছে তা বুজতে পারে না। এটা একটা বুদ্ধিভিত্তিক কাজ হলেও এই রোবট আসলে বোকা৷ কারণ তিনটি ভাষা জানে ওই রোবট; শব্দভান্ডার, গ্রামার আর সিন্টেক্স বোঝে, কিন্তু কী লিখছে সেটা সে বোঝে না৷''
ক্লাইন বলেন, ‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনেককিছু আমাদের মাথায় ও মনে ঢুকে গেছে৷ আর এটা সম্ভব হয়েছে পুপলার কালচারের মাধ্যমে। এভাবে রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আমাদের মনে একটা ছবি তৈরি হয়েছে৷ তাই আমরা যখন বাস্তবে রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দেখি, তখন হতাশ হই, কারণ বেশিরভাগ সময়ই মুভি বা বইয়ে পড়ার মতো তাদের চমকপ্রদ মনে হয় না৷''
কিন্তু মানুষের সৃজনশীলতা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে সীমানা কোথায়? যন্ত্র কি শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তি জগতের সবশেষ রহস্য, আবেগ অনুভব করা ও তাকে শিল্পে পরিণত করতে সক্ষম হবে?