মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতাদের ফোনালাপ আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে হোয়াইট হাউজ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ইউক্রেনের জন্য সমর্থন এবং তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে পশ্চিমা বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্র যখন আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তখন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে আচমকা ধাক্কা খেল।
মধ্যপ্রাচ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ওয়ালস্ট্রিটকে জানিয়েছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান উভয়েই সম্প্রতি বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে সাড়া দেননি।
যেকারণে সাড়া দেয়নি
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে তাদের হস্তক্ষেপে আরও বেশি সহায়তা চায় সৌদি আরব। এছাড়া রিয়াদের বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সাহায্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আইনি দায়মুক্তি চায় সউদী আরব। আর এসব দাবির কথা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন সৌদি কর্মকর্তারা।
২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মামলার মুখে পড়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবকে ‘জাতিচ্যুত’ রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দেন। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সউদী আরবকে মূল্য দিতে হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডেমোক্রাট প্রার্থী বাইডেন।
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সউদী আরবে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে ওয়াশিয়টনের দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় রিয়াদের একই উদ্বেগ রয়েছে আবুধাবি।