অপহরণ নয় ‘জঙ্গি সম্পৃক্ততায়’ আটক হয়েছেন কিশোরগঞ্জের ডা. কাউসার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ১৪, ২০২২, ০৭:৫৩ পিএম

অপহরণ নয় ‘জঙ্গি সম্পৃক্ততায়’ আটক হয়েছেন কিশোরগঞ্জের ডা. কাউসার

কিশোরগঞ্জের একটি কোচিং সেন্টার থেকে এক চিকিৎসককে ‘অপহরণের’ যে অভিযোগ উঠেছিল, সে বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট- সিটিটিসি জানাচ্ছে ভিন্ন কথা। সিটিটিসির দাবি, ওই চিকিৎসক জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত। তাঁকে আটক করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তিনি। তাঁর নাম মির্জা নূর কাউসার। কিশোরগঞ্জের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, মির্জা নূর কাউসার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তাঁর অধীনে বেশ কিছু জঙ্গি রয়েছে। আমরা আরো বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে চিহ্নিত করেছি, যাঁরা জঙ্গি হিসাবে অত্যান্ত সক্রিয়।

২৮ বছর বয়সী মির্জা নূর কাউসার কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তাঁর গ্রামের বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার উজানচর গ্রামে।

শহরের খরমপট্টি এলাকায় সমবায় মার্কেটের দোতালায় মেডিক্স কোচিং সেন্টার পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন কাউসার। শনিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে একদল লোক তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় বলে পরিবার ও সহকর্মীদের দাবি। এ বিষয়ে তাঁরা কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় অপহরণ সংক্রান্ত লিখিত একটি অভিযোগও (ডায়েরি) করেছিলেন।

ডা. কাউসারের স্ত্রী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তাঁদের একটি মেয়ে আছে। শহরের খরমপট্টি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তাঁদের সাথেই থাকেন কাউসারের বাবা আব্দুল হাকিম।

আব্দুল হাকিম ঘটনার দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কেনো আমার ছেলেকে কেউ অপহরণ করতে পারে, বুঝতে পারছি না। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেও জড়িত ছিল না। আমার জানামতে তাঁর কোনো শত্রুও নেই।

মেডিক্স কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম জানিয়েছিলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ কয়েকজন লোক এসে ডা. মির্জা নূর কাউসারকে তাঁদের সাথে যেতে বলে। কয়েক মিনিট পর তাঁকে নিয়ে তাঁরা নিচে নামে।

মাহবুব আরও জানান, ডা. কাউসারকে একটি কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে তাঁরা দ্রুত চলে যায়। তারপর থেকে কাউসারের আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ সেদিন বলেছিলেন, কারা মির্জা নূর কাউসারকে নিয়ে গেছে, তা জানতে ওই কোচিং সেন্টার থেকে সিসিটিভি ভিডিও নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ।

তবে পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আ ন ম নৌশাদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে তাঁর কথা হয়েছে। কাউসারকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করার কথা তাঁকে জানানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ রবিবার রাত ১০টার দিকে ফোনে তাঁকে বিষয়টি ফোনে জানিয়েছেন। ডা. কাউসারের বাবার সাথেও ডিবির পক্ষ থেকে ফোনে কথা বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Link copied!