মার্চ ১৬, ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপন মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে পলাশীর প্রান্তে পরাজয় হয়েছে। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পলাশীর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার স্বপ্ন শুধু বঙ্গবন্ধু পূরণ করতে পেরেছেন। যিনি আমাদের পূর্ব পুরুষদের অপমান, গ্লানি, পরাজয়, রক্তের প্রতিশোধ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) গেন্ডারিয়াতে আন্জুমানে মফিদুল ইসলাম এতিম খানায় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে খাবার বিতরণ ও আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তাঁর স্বাধীন করা দেশে আমরা বাস করি তাই তাঁর জন্মদিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনাকে অস্বীকার করে। যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না তারা বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করে না। যাদের বঙ্গবন্ধুর প্রতি কোনো আস্থা নেই, এই দেশ এই মাটির প্রতিও তাদের কোনো আন্তরিকতা নেই।
বঙ্গবন্ধু বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমরা স্বাধীন জাতি। সেই মানুষটাকে আমাদের সম্মান করা উচিত। ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোত্র নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধু সকলেরই শ্রদ্ধেয়।
জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন এবং তিনি বলেছেন শিশুরাই আগামীর নেতৃত্বে আসবে। বঙ্গবন্ধুকে জানুন, তাকে জানার চেষ্টা করুন। বাংলাদেশকে জানতেও হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে বাংলাদেশকে জানতে হবে। দুটো জিনিস তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন একটা সততা আরেকটা সাহস।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাবিশ্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা নেই। পৃথিবীর কোনো দেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মাতামাতি করে না, সেখানে বিএনপির নির্লজ্জের মতো এটা নিয়ে কথা বলে। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।
ডক্টর ইউনূসের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে মানুষ বাংলাদেশ নিয়ে ভাবেন না তাকে নিয়ে আমাদের ভাবনার কিছু নেই, বলার কিছু নেই। বাংলাদেশের এত বন্যা, ঝড় জ্বলোচ্ছাসে, উনি দুনিয়া নিয়ে ভাবেন, কিন্তু বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবেন না। যিনি বাংলাদেশ নিয়ে ভাবেন না তাকে নিয়ে আমরা ভাববো কেন?
তিনি আরও বলেন, যিনি নিজের আইন নিজেই লঙ্ঘন করেন, জোর করে এমডি থাকতে চান। তার আইন তিনিই লঙ্ঘন করেছেন। তিনি সম্মানিত ব্যক্তি কিন্তু নিজের কর্মকাণ্ডে তিনি নিজেকেই অসম্মানিত করেছেন। যিনি নিজেই আইন ভাঙেন।
ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।