বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে চায় জাতিসংঘ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১, ০৩:২১ পিএম

বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে চায় জাতিসংঘ

বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।  

অনুষ্ঠানে মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বর্তমান সরগরম পরিসস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন,‘বাংলাদেশ চাইলে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে জাতিসংঘ’।

এসময় আলোচিত-সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও কথা বলেন তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ এই আইন পর্যালোচনা ও তার অপব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশের আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে’।

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট কেবল মানবিক নয়, রাজনৈতিকও বটে। এসময় তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা একমত হতে না পারায় রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান হচ্ছে না’।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিমধ্যে আলাপ-আলোচনা ও তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কর্মপন্থা ঠিক করতে যাচ্ছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নিরপেক্ষ সরকারের দাবী তুলে বলেছেন,‘আগামী নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনেরপরিচালনায়।

তবে বিএনপির এমন দাবীর সাথে কোনভাবেই একমত নন ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক কোন ধরনের নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে সাংবিধানিক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও সাংবিধানিক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় সংসদ উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে দেশে আইন নেই। অথচ সংবিধানে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, ইসি গঠনে একটি আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইনের মাধ্যমে সৎ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর হবে।

Link copied!