ডিসেম্বর ৮, ২০২১, ০৫:২০ পিএম
করোনা মহামারি সামাল দিয়েও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ ২০২১ সালে বিশ্বের উদীয়মান ৫ টি দেশের একটি ছিল। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলে সি-ক্যাটাগরিতে নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা জানান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে, বাংলাদেশে ১৯৭৬ সালে আইএমওতে যোগদানের পর আইএমও কাউন্সিলে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত সি-ক্যাটাগরিতে এবং ২০০২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্যাটাগরি-বিতে প্রতিনিধিত্ব করেছে। এখন আবার আইএমও কাউন্সিলে ক্যাটাগরিতে সি-এর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে বাংলাদেশ।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চলতি বছরটি (২০২১) আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর। এবছর আমরা, স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী পালন করছি। জাতির পিতাই ১৯৭৪ সালে প্রথম মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট এবং প্রথম মেরিটাইম একাডেমি গড়ে তোলেন।”
মন্ত্রী তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, “বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বগুণেই করোনা মহামারিতে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম প্রাণহানি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এসময় বাংলাদেশের অর্থনীতি দূর্দান্ত গতিতে এগিয়েছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ এশিয়ার দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির তালিকায় প্রথম সারিতেই ছিল। এমনকি ২০২১ সালেও বাংলাদেশ বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশের তালিকায় সেরা ৫ এর মধ্যেই আছে।”
বাংলাদেশ সবসময় মেরিটাইম (সমুদ্র) আইন অনুসরণ করে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে ব্লু ইকোনমির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।”
বাংলাদেশের বৈদশিক বাণিজ্যের শতকরা ৯৫ ভাগই সমুদ্রকেন্দ্রীক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের কাছে সমুদ্র অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
মন্ত্রী তার লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশর সমুদ্র বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, “বাংলাদেশ দুই ভূবেষ্টিত দুই প্রতিবেশী দেশকে নিজের সমুদ্র বন্দরগুলো ব্যবহার করতে দিচ্ছে।”
মন্ত্রী বাংলাদেশে ১৪ টি জাতীয় মেরিটাইম একাডেম এবং প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে উল্লেখ করে জানান, এসবের পাশাপাশি বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যা বিশ্বের মাত্র ৯ টি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং আইএমওতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদা মুনা তাসনিমকে ধন্যবাদ জানান।