মিজান ও বাছিরের সর্বোস্ত শাস্তি দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৪:৪৮ পিএম

মিজান ও বাছিরের সর্বোস্ত শাস্তি দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। 

সোমবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক শুনানিতে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তাদের এই শাস্তি দাবি করেন। 

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছি। আসামিরা নিজেরাও দোষ স্বীকার করেছেন, তাই আসামিদের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছি। 

দুদকের আইনজীবী আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন করতে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। ওই তিন আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে। 

নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্যা ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে, মিজান দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেতে বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন ডিআইজি মিজান। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের নারী সংবাদ উপস্থাপককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়।

এ ছাড়া, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে জোর করে এক নারীকে বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে জুলাই মাসে ২৫ বছর বয়সী ওই নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন মিজান। পরে, তিনি ওই নারীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন এবং তিন সপ্তাহ পর্যন্ত জেলে রেখেছিলেন।

২০২০ সালের ২৪ জুন অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগপত্র অনুসারে, মিজানের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পেয়েছে দুদক।

Link copied!