কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর চামড়া। রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে আসছে এই কাঁচা চামড়া। এছাড়া চামড়াপাচার প্রতিরোধে ও দ্রুত সময়ে ট্যানারি চামড়ার ট্রাক ঢুকতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
সরেজমিনে চামড়াশিল্প নগরী ঘুরে দেখা যায়, ট্রাকে করে চামড়া আনতে শুরু করেছে মৌসুমি ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মাদ্রাসার কর্মকর্তারা। সারি সারি চামড়া বোঝাই ট্রাক ঢুকে পড়ছে ট্যানারিগুলোতে। এরপরই শ্রমিকরা আকারভেদে বাছাইয়ের পর তাতে মাখানো হচ্ছে লবণ। প্রাথমিক সংরক্ষণের পর তা তুলে দেওয়া হবে ড্রামে। এরপরই পর্যায়ক্রমে চলবে চূড়ান্ত সংরক্ষণের কাজ। আজ থেকে দুইদিন ট্যানারিগুলোতে লবণবিহীন কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হবে। এরপর সারা দেশ থেকে প্রায় মাসজুড়েই লবণ মাখা চামড়া সংগ্রহ করবেন ট্যানারি মালিকরা।
তবে এবারও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া না কেনার অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি, সরকার যে মূল্য ধরেছে চামড়ার, সে দাম দিচ্ছেন না ট্যানারি মালিকরা।
জামালুল কুরআন মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল জলিল হোসেন বলেন, ‘দেশের সব কিছুর দাম বেড়েছে শুধু কমেছে চামড়ার দাম। এ শিল্পটি রক্ষায় সরকারের এখনই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
মৌসুমি ব্যবসায়ী লিটন বলেন, ‘বর্গফুটে চামড়া কেনার কথা থাকলেও ট্যানারি মালিকরা পিস প্রতি দাম দিচ্ছে। যাতে করে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।’
অন্যদিকে ট্যানারি মালিকরা বলছেন, সংরক্ষণের জন্য লবণ ও কেমিক্যাল দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সাভারে সালমা ট্যানারি মালিক মো. সাখাওয়াত উল্যাহ বলেন, ‘যে হারে কাচামাল, লবণ আর রাসায়নিকের দাম বাড়ছে তাতে করে খরচ কমানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া কর্মীদের মজুরি তো আছেই। ’
তিনি দাবি করছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই ট্যানারিগুলো চামড়া ক্রয় করছে। এবার কোরবানি ঘিরে সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।