জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগী নয়ন (২৪) গ্রেফতার হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ওই ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার নয়ন ওই এলাকার সানোয়ার হোসেনের ছেলে বলে পুলিস সূত্রে জানা গেছে।
বকশিগন্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা গ্রেফতারের বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা নাদিম হত্যার সাথে জড়িত আরও একজনকে গ্রেফতার করেছি। তবে তার নাম মামলার এজাহারে নেই। আমরা পূর্বে গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপক জিঙ্গাসাবাদের পর তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নয়নের নাম জানায়। তারা সিসিটিভি ফুটেজে নয়নকে সনাক্ত করে দেয়।”
বকশিগন্জ থানার ওসি আরও বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সাংবাদিক নাদিমের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করতে হেলমেট পরিহিত আরেকটি মটরসাইকেল সামনে চাপ দিয়ে চলে যায়। ফুটেজ ও হেলমেট থাকায় তখন তাকে সনাক্ত করা না গেলেও আগে গ্রেফতাকৃতদের জবানবন্দীতে নাম বলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।”
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পৌর শহরের সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ হাসপাতাল ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।