ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, গ্রেপ্তার ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, ভয় সৃষ্টির জন্য ককটেল বিস্ফোরণসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তারা গান পাউডার মজুদ করেছিলো।
হারুন অর রশীদ আরো বলেন, এসব গান পাউডার দিয়ে ২শ টির বেশি ককটেল বানানো যেতো। এছাড়া ২০টি ককটেল ও পেট্রোল বোমা পাওয়া যায়।
তবে পুলিশের এই বক্তব্য নাকচ করেছেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ডিবি পুলিশ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখার সভাপতি ওমর ফারুক মামুনকে ডিবি ধরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিটি কর্মসূচি পালন করেন বলে দাবি করেন আরিফুল। তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের সহিংসতার সঙ্গে আমরা জড়িত নই। মূলত বিএনপির এক দফা দাবির আন্দোলনে ভীত হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের দোসর রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে নির্বিচারে গণতন্ত্রকামী ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষককে গ্রেপ্তার করছে।’