জাতীয় শোক দিবসের (১৫ আগস্ট) সাধারণ ছুটি বাতিল করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ ছুটি বাতিল করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে ব্যাপক ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের বিষয়টি অদ্যকার উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১২ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়েও আকারে-ইঙ্গিতে কথা বলেছে কোনও কোনও দল।
একই দিনে ঢাবির টিএসসি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ ৩৫টি ছাত্র সংগঠন এক মতবিনিময় সভায় ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। উপস্থিত সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে লিখিতভাবে একমত পোষণ করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। সে সময় থেকে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
পরে ২০০১ চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০০২ সালে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। এর ছয় বছর পর হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়। এরপর থেকে ১৫ আগস্ট দিনটি জাতীয়ভাবে শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল।