নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে দুই দিনে ৩১ জনের লাশ উদ্ধার

জাতীয় ডেস্ক

আগস্ট ৭, ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম

নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে দুই দিনে ৩১ জনের লাশ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

নাফ নদীতে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ১২ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ঢেউ ও ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নতুন করে পাওয়া এসব লাশের মধ্যে ছয়জন শিশু ও ছয়জন নারী রয়েছেন। সব মিলিয়ে গত দুই ৩১ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে নারী ১৩ জন ও শিশু ১৫ জন।

বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কক্সবাজারের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীর জেটিঘাট এলাকা থেকে ২ শিশু ও ৩ নারী, সাগর তীরবর্তী শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া সৈকত থেকে ২ নারী ও ২ শিশু এবং পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে ১ নারী ও ২ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। তিনি জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে এসব লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নাফ নদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে রাতের আঁধারে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে পৃথক নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নিখোঁজ থাকা নারী, পুরুষ ও শিশুর লাশ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভেসে আসছে।

এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল এবং নজরদারি জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন বিষয়টি জানান।

তিনি উল্লেখ করেন, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নাফ নদী ও সেন্টমার্টিন এলাকায় যে কোনওপ্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে উপকূলীয় অঞ্চলে টহল জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ নিয়মিত হাই স্পিডবোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

Link copied!