সাকিব আল হাসানকে দুদকে তলব

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম

সাকিব আল হাসানকে দুদকে তলব

ছবি: সংগৃহীত

শেয়ারবাজারে কারসাজির মাধ্যমে ২৫৬ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ মোট ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর তাঁদের দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, সাকিব আল হাসানকে ২৬ নভেম্বর সকাল ১০টায় হাজির হওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিবের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে চলমান পৃথক অনুসন্ধানের তথ্যও ওই দিন নেওয়া হবে।

মামলার এজাহারে সাকিবের বিরুদ্ধে বলা হয়, প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স ও সোনালী পেপারস লিমিটেড—এই তিন কোম্পানির কারসাজি করা শেয়ারে বিনিয়োগ করে প্রতারণায় যোগ দেন সাকিব। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি ‘রিয়েলাইজড ক্যাপিটাল গেইন’ নামে অপরাধলব্ধ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

সাকিব আল হাসান ছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন সমবায় অধিদপ্তরের সাবেক উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের (হিরু) ও তাঁর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মো. বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আবুল খায়ের সহযোগীদের সঙ্গে যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ১৭ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। বিও হিসাব ব্যবহার করে ফটকা ধাঁচের সিরিজ লেনদেন, প্রতারণামূলক অ্যাকটিভ ট্রেডিং, গ্যাম্বলিং স্পেকুলেশনসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে বাজার কারসাজি করেছেন, যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক ক্যাপিটাল গেইনের নামে উত্তোলিত অপরাধলব্ধ অর্থ বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করে উৎস গোপন করেন আবুল খায়ের। এ কাজে তাঁর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানও যুক্ত ছিলেন। মামলার তথ্যে উঠে এসেছে, তিনি ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকা স্থানান্তর করেছেন। তদন্তে দেখা যায়, তাঁর নামে থাকা ১৭টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ টাকা।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৭ জুন মামলাটি করা হয় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায়।

Link copied!