আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৯:৪৫ এএম
ক্যু’র চেষ্টা করা হলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
এর আগে গতকাল রোববার সচিবালয় ঘেরাওকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যদের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: আমাদের কাজ করতে না দিলে দুঃখ ঘোচানোর পথ বন্ধ হয়ে যাবে : ড. ইউনূস
এদিকে সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ‘আনসার ক্যু’ উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। আনসার সদস্যদের সচিবালয় ঘেরাও ও কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে ‘আনসার ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে দেওয়া ওই পোস্টে বলেছেন, “আগামী দিন কোনও ধরনের ক্যু’র চেষ্টা করা হলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ উল্লেখ করেন, “কোনও ষড়যন্ত্রই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে যথেষ্ট হবে না। জুডিশিয়াল ক্যু, পথভ্রষ্ট আনসার ক্যু’র উদাহরণের পরেও যদি সাবধান না হোন তবে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।”
এর আগে রাত নয়টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে ও কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
প্রথমদিকে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ও পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
এদিকে রাত সাড়ে আটটার দিকে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের আটক রাখার কথা জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমায়েত হতে থাকে। পরে রাত নয়টার দিকে সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তারা।