সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল চেয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শাহবাগে এই ঘোষণা দেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র অন্যতম সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি জানান, বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে দেশের আনাচে-কানাচে বাংলা ব্লকেড অব্যাহত রাখবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড পালিত হবে। এ ছাড়া গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দুই দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার বিরতি দেওয়া হয় এবং কোটা বাতিলের দাবিতে জনমত গঠনের লক্ষ্যে পালিত হয় গণসংযোগ কর্মসূচি।
২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের পর সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে পুরো কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই বছর ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।
গত ৫ জুন রায় ঘোষণায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডে নিয়োগের বাধা দূর হয়। ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটিতে পক্ষভুক্ত হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ঢাবিসাস) সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান আবেদন করেন। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন।