মার্চ ১৮, ২০২৫, ১২:১০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স তুলসি গ্যাবার্ডে মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, তুলসি গ্যাবার্ড অভিযোগ তুলেছেন যে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘নিপীড়ন ও হত্যা’ এবং দেশে ‘ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকির’ মধ্যে ‘ইসলামি খিলাফত অনুযায়ী শাসন করার’ ‘আদর্শ ও উদ্দেশ্য নিহিত’ আছে। তার এমন মন্তব্যে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।
তার এই বিবৃতি বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর। এই জাতি ইসলামের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ চর্চা করে এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
এতে আরও বলা হয়, গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোনো প্রমাণ বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, বরং পুরো জাতিকে মোটা দাগে এবং অযৌক্তিকভাবে চিত্রিত করেছে।
বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সামাজিক সংস্কার এবং অন্যান্য সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে অব্যাহতভাবে কাজ করছে।
ভিত্তিহীনভাবে বাংলাদেশকে ‘ইসলামি খিলাফত’ ধারণার সঙ্গে যুক্ত করায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অসংখ্য বাংলাদেশি এবং বিশ্বজুড়ে তাদের বন্ধু ও অংশীদারদের কঠোর পরিশ্রমকে অবমূল্যায়ন করেছে। ‘ইসলামি খিলাফত’ এর সঙ্গে যুক্ত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা জানায়।
রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উচিত সংবেদনশীল বিষয়গুলো মাথায় রেখে, প্রকৃত জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে এবং ক্ষতিকারক বাঁধাধরা ধারণাগুলো (স্টেরিওটাইপ) থেকে বেরিয়ে এসে, ভয় না দেখিয়ে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা যেন উসকে না দেয় সে ব্যাপারে যত্নশীল হয়ে মন্তব্য করা।
চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অভিন্ন বৈশ্বিক প্রচেষ্টা এবং জাতির সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথ্যভিত্তিক গঠনমূলক সংলাপে অংশ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।