স্বাধীনতার ৪৮ বছরে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের নারীরা। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে নারীর অগ্রগতি এগিয়ে চলা দৃশ্যমান। তবে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে রয়েছে নারীরা। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আমাদের দেশের নারীরা।
সম্প্রতি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় মোবাইল মালিকানায় পিছিয়ে আছেন নারীরা। বিশেষ করে অসচ্ছল, পড়াশোনা না জানা, গ্রামাঞ্চলে বসবাস করা বা বিশেষভাবে সক্ষম নারীরা আরও বেশি পিছিয়ে আছেন।
প্রতিবেদনে ১২টি দেশের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। দেশগুলো হল মিসর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো ও গুয়াতেমালা।
এসব দেশে জরিপে ভারত বাদে বাকি ১১টি দেশে ১৫ বছর ও এর বেশি বয়সের এক হাজার নারী ও পুরুষের তথ্য নেওয়া হয়েছে। ভারতে দুই হাজার জনের ওপর এ জরিপ চালানো হয়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে নারী-পুরুষের ব্যবধান বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ, ভারতে এ ব্যবধান ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ নারী ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানেন। এরপরও তারা তা ব্যবহার করেন না। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে সাক্ষরতা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবের কথা উঠে এসেছে, যা পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এছাড়া বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৮ শতাংশ নারী মোবাইলের মালিক। অর্থাৎ মালিকানায় নারী-পুরুষের ব্যবধান ২০ শতাংশের কাছাকাছি। যদিও সর্বশেষ জরিপের আগের বছর (২০২২) এ ব্যবধান ২১ শতাংশ ছিল। এ ছাড়া দেশে যত পুরুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, নারীর মধ্যে সেই সংখ্যা তার অর্ধেক।