৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ১২:১৩ পিএম

৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

ছবি: সংগৃহীত

চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধভাবে অর্জিত ৬৭৮ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিআইডির মিডিয়া বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন খান। তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সিআইডির ঢাকার ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আর্থিক লেনদেন, নথিপত্র ও ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় বাজার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে উঠে আসে। প্রাপ্ত তথ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ১৪ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

সিআইডি জানায়, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী হিসেবে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ ও হীরা ব্যবসার আড়ালে অর্থ পাচার এবং চোরাচালানে জড়িত ছিলেন বলে তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এলসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে বৈধভাবে ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার ১১ টাকার স্বর্ণবার, অলংকার, লুজ ডায়মন্ড ও অন্যান্য দ্রব্য আমদানি করে। একই সময়ে স্থানীয় বাজার থেকে ক্রয়, বিনিময় বা পরিবর্তনের মাধ্যমে ৬৭৮ কোটি টাকার স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করা হলেও এর উৎস বা সরবরাহকারীর বৈধ কাগজপত্র প্রতিষ্ঠানটি সিআইডিকে দেখাতে ব্যর্থ হয়। ফলে এগুলো চোরাচালানের মাধ্যমেই দেশে এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়।

চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ ও অপরাধলব্ধ অর্থ লুকানো, রূপান্তর বা ব্যবহারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনায় মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন অতিরিক্ত আইজিপি, সিআইডির কাছে জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৬ নভেম্বর মামলার অনুমোদন প্রদান করা হয়।

জসিম উদ্দীন খান জানান, যেহেতু গুলশান থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং মামলা সিআইডির তফসিলভুক্ত, তাই তদন্তের দায়িত্বও সিআইডিই পালন করবে। প্রয়োজনীয় নথি, ব্যাংক লেনদেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য যাচাই করে সংস্থাটি আইনানুগ প্রক্রিয়ায় বিস্তারিত তদন্ত শুরু করবে।

Link copied!