শুক্রবার বিকেলে বাজেটকে স্বাগত জানাতে গিয়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ছবি: সংগৃহীত
প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানাতে গিয়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে।
আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি দিলেও প্রতিপক্ষের লোকজন এই ঘটনা ঘটান
- জসিম উদ্দিন চৌধুরী
সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগ আনোয়ারা, চট্টগ্রাম
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল সোয়া চারটার সময় উপজেলার বন্দর সেন্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দাবি করা হয়েছে, ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে দু’পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন। টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
আমরা গতকাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। তারা আজ আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করতে এই কর্মসূচি ডাকেন। এই ঘটনায় যুবলীগ নেতা টিপু আহত হয়েছেন। কর্ণফুলী থানার ওসির উসকানিতে এই ঘটনা ঘটে
- কাজী মোজাম্মেল হক
দলীয় সূত্র জানায়, বাজেট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষ পৃথক আনন্দ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। বিকেলে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা তিনটার দিকে সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন তারা। তখন তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। ধীরে ধীরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অনুসারী ও আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী দাবি করেন, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান চৌধুরী, বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, চাতরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তাজ উদ্দিন ও তিনি আহত হয়েছেন।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি দিলেও প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটান।”
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, “আমরা গতকাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। তারা আজ আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করতে এই কর্মসূচি ডাকেন। এই ঘটনায় যুবলীগ নেতা টিপু আহত হয়েছেন। কর্ণফুলী থানার ওসির উসকানিতে এই ঘটনা ঘটে।”
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, “বাজেট নিয়ে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে দু’পক্ষ। পরে সংঘর্ষে জড়ালে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।”
জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, দু’পক্ষকে আগে-পরে সময় করে মিছিল করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা একসঙ্গে জড়ো হয়।