আসছে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) চালু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন। বুধবার(৩০ আগস্ট) সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধনের পরদিন ১৩টি পয়েন্ট দিয়ে চলাচল করতে পারবেন সর্বসাধারণ।
সেতু বিভাগের সচিব বলেন, “আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর টোল দিয়ে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে যাবেন তিনি। যেখানে সুধী সমাবেশে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে বক্তব্য দেবেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিমানবন্দর প্রান্তে উদ্বোধনের পর ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। পরে আগারগাঁওয়ে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি। পরের দিন রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সর্বসাধারণ এতে চলাচল করতে পারবেন।”
সচিব মো. মনজুর হোসেন জানান, বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে কাওলা, কুড়িল আর গলফ ক্লাবে ওঠার ব্যবস্থা থাকবে। একদিকে নামা যাবে বনানী ও মহাখালী আর ফার্মগেটে। অন্যদিকে, তেজগাঁও থেকে বিমানবন্দর যেতে বিজয় সরণি ওভারপাসের দুই প্রান্ত আর বনানী থেকে থাকবে ওঠার ব্যবস্থা। নামা যাবে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দর এলাকায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেডমোট এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১১ কিলোমিটার। তবে, র্যাম্পসহ এই পথের দৈর্ঘ্য সাড়ে ২২ কিলোমিটার। বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত মোট র্যাম্প ১৫টি। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প শনিবার খুলে দেওয়া হবে। বনানী ও মহাখালীর দুটি র্যাম্পের কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি। চলমান কাজ শেষ হলে এ দুটি র্যাম্পও খুলে দেওয়া হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হবে। এতে বিমানবন্দর ও যাত্রাবাড়ী রুটের যাত্রীরা কম সময়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন।
প্রকল্পের নথি অনুসারে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে সরাসরি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে মিলবে। মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।