সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সেনাবাহিনীকে কতদিন কতোদিন মাঠে থাকতে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয় বলে বাহিনীটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বুধবার ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাসদরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তে। সরকার এটা নির্ধারণ করবেন যে সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে।
কর্ণেল ইন্তেখাব হায়দার খানকে প্রশ্ন করা হয়, সেনাবাহিনী মাঠে থাকা অবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে কিনা, ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধ করার ব্যাপারে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন রয়েছে।
‘এ ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আদেশ রয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে যাতে আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হতে না দেই। আমাদের সেই চেষ্টা রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রেও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে যে আমরা এ ঘটনা ঘটতে না দেই।’
তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রমের কারণে কতোগুলো পরিস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। যা জনসম্মুখে আসেনি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে এ পর্যন্ত ৬০০ এর বেশি আনরেস্ট হয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলি ভায়োলেন্স ছিল। বিশেষ করে শুরুর দিকের ঘটনাগুলো। আমাদের সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ছিলো। তারা যদি সময়মতো গিয়ে এগুলো প্রতিরোধ বা শান্ত করার ব্যবস্থা না করতেন তাহলে অনেক বেশি ঘটনা ঘটতে পারত। তাছাড়া পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় অনেক কিছু করতে হয়, তবে সেনাবাহিনী টার্গেট করে কাউকে মারধর করেনি।
জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চাকুরিচ্যুত ও পলাতক মেজর জিয়াউল হক জিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর কাছে কোনও তথ্য নেই। তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়ে অনেক কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ট্রাফিকিংয়ের বিষয়টি সামনে আসেনি। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্বটা পুলিশের। স্থায়ী সমাধানের চিন্তা করলে সেখানে সরকারের অনেকগুলো সংস্থার সংশ্লিষ্টতা আছে। যদি এমন কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়, যেখানে আমাদের সহায়তার প্রয়োজন, আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি। আমরাও মনে করি এটার স্থায়ী একটা সমাধান দরকার।
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট উদ্ধার করা ছাড়াও এসএসএফের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গেও প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বলেন, এসএসএফের ভারী অস্ত্র খোয়া যায়নি। কিছু পিস্তল খোয়া যায়। সেটার সন্ধান কার্যক্রম চলছে। আর পুলিশের খোয়া যাওয়া বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। যেগুলো উদ্ধার হয়নি সেগুলো উদ্ধারে কাজ চলছে।
হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলেও জানান তিনি। যদি কখনও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে সেনাবাহিনী সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভালো হয়েছে। অনেক বলতে পারেন আশা অনুযায়ী উন্নতি হয়নি। তবে অবনতিও হয়নি।
প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে লিখিত বক্তব্যে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় নিয়োজিত আছে। এই দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী জনগণের জানমাল, রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) এবং সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোকে রক্ষা করার পাশাপাশি যেসব দায়িত্ব পালন করছে তা হলো পুলিশ বাহিনীকে পুনরায় কার্যক্ষম হতে সহায়তা করা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা। বিদেশি কূটনীতিক ব্যক্তি ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কারখানাগুলোকে সচল রাখতে সহায়তা করা। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে অরাজকতা ও ভাঙচুর প্রতিরোধ করা। জনগণের ভোগান্তি এড়াতে এবং দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে মূল সড়কগুলোকে বাধামুক্ত রাখা। বিভিন্ন স্থান থেকে বেহাত ও লুট হওয়া অস্ত্রসহ সকল অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা। সার্বিকভাবে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাতে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে, সেজন্য সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা।
চলমান কার্যক্রম
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোট ৬০০০-এর অধিক অবৈধ অস্ত্র এবং প্রায় ২ লক্ষ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে এবং এর সাথে সম্পৃক্ত ২৫০০-এর অধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ৬০০-এর অধিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে এবং কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে বর্তমানে দেশের ২০৮৯ টি গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে প্রায় সবগুলোই এ মুহূর্তে চালু রয়েছে। এর পাশাপাশি ৭০০-এর অধিক বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, যার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪১টি, সরকারি সংস্থা/ অফিস সংক্রান্ত ৮৬টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৯৮টি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ৩৮৮টি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সময়মতো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এবং বহু মানুষের জান ও মালের ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। বিদেশি কূটনীতিক ব্যক্তিবর্গ ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কুটনৈতিক এলাকায় স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক সেনা টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এছাড়া সেনাবাহিনী অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা, বিভিন্ন অপরাধী ও নাশকতামূলক কাজের ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতার করার কাজেও সম্পৃক্ত রয়েছে। যৌথ অভিযানে ৭০০ জনের অধিক মাদক ব্যবসায়ী অথবা মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ অন্যান্য অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
এর মাঝে গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে দেশের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় আক্রান্ত হলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে প্রত্যন্ত এলাকাসহ সকল দুর্গত এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সম্মিলিতভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ এবং জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। এছাড়া দুর্গত এলাকায় মোবাইল সংযোগ পুনঃস্থাপনে সহায়তা, মহাসড়কে ট্র্যাফিক চলমান রাখা, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও সড়ক সংস্কার, এবং বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনেও সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রাখে। যা এখনো চলমান রয়েছে। এসময় বন্যা দুর্গতদের সাহায্যের জন্য দেশের আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও সহমর্মিতা ছিল সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। পরবর্তীতে অক্টোবর মাসে দেশের মধ্য-উত্তরাঞ্চলের ৪টি জেলা বন্যা আক্রান্ত হলে একইভাবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ এবং জরুরি চিকিৎসা সেবা কাজে অংশগ্রহণ করে।
১৭ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদবির অফিসারদের সরকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা যাতে সুষ্ঠুভাবে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রয়োগ করা হয়, তার জন্য সেনাবাহিনীর সকল পর্যায়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই বিশেষ ক্ষমতার কার্যকরী প্রয়োগের কারণে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি যেমন চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার, শিল্পাঞ্চলের বিশৃঙ্খলা, রাস্তা অবরোধ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
এসব দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ চলাকালীন উভয় দলের খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালদের ও ভেন্যুর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্ম উৎসব দুর্গা পূজা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতে পারে সেজন্য দেশব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। এসময় সারা দেশে অতিরিক্ত ১৩৩টি সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হয় এবং ১০ হাজারের অধিক অতিরিক্ত সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। পুজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সকল আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, ছাত্র সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় প্রশাসন, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কোন উল্লেখযোগ্য দুর্ঘটনা ব্যতীত পূজা উৎসব সম্পন্ন হয়। একইভাবে বৌদ্ধদের দেশব্যাপী প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবরদান উৎসব, যা এখনো চলমান রয়েছে, তা যেন নিরাপদে পালিত হতে পারে, সেজন্য সেনাবাহিনী অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট বৌদ্ধ সংগঠন ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও সাম্প্রদায়িক সংঘাত এড়াতে এবং কক্সবাজার জেলায় এফডিএমএন ক্যাম্প এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সেনাবাহিনী বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অদ্যাবধি ৩২৯৫ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৩ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানের দিকনির্দেশনাকে অনুসরণ করে এ মুহূর্তে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাসদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম এবং স্থানীয় জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। সামনের দিনগুলোতে এই সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করে কর্মধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ।