নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৭:৪১ পিএম
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে শুক্রবার ( ১৭ নভেম্বর ) জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় মিছিল করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা।
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের মুক্তি দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে দলটির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন,‘আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যে নেবেন না।’
শুক্রবার ( ১৭ নভেম্বর ) জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে উত্তপ্ত রাজপথে পেট্রল ঢেলে দিয়েছে। গণবিরোধী এ তফসিল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ এ অবৈধ তফসিল মানে না।
দেশবাসী এ তফসিলের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। রাজপথ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন, সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষিত তফসিল দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তফসিল ঘোষণা করে সিইসি দলদাসের চূড়ান্ত খেলা শুরু করেছেন।
সমাবেশ শেষে বৃষ্টির মধ্যেই মিছিল বের হয়। মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংক ঘুরে হাউস বিল্ডিং চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।