ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম
ট্রেনে আগুন দেওয়াসহ দুই-একটি সন্ত্রাসী কাজ করে সারা দেশের নির্বাচন প্রতিহত করা যাবে না মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের কাজে কয়েক লক্ষাধিক লোক নিয়োজিত থাকবে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে এত বড় একটি নির্বাচন ভণ্ডুল করা যাবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ আলমগীর আরও বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা ব্যালট পেপার নির্বাচনের দিন পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যে কয়েকটি স্থানে ব্যালটে ভোট হয়েছে, সব জায়গায় এভাবেই নির্বাচন করেছি। কেউ বলার সুযোগ পাবে না যে, আগের রাতে ভোট পড়েছে। তবে দুর্গম এলাকাগুলোতে আমরা রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলবো। কেন দুর্গম এলাকায় আগে ব্যালট দিতে হবে, ব্যাখ্যা নেওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে কেউ নাশকতামূলক কার্যক্রম করতে পারে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট তৎপর আছে। এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য নির্বাচন কমিশন আশা করে, যারা এই বিষয়ে দায়িত্বে আছেন তারা আরও তৎপর থাকবেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে।
মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কি না, এমন প্রশ্নে ইসি আলমগীর বলেন, কোথাও যদি বাঘ থাকে এবং তার চেয়ে ছোটখাটো কোনো প্রাণী যদি থাকে, সেখানটা তো ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তারা এসব দেখবে। মাঠ সবার জন্য সমান, আইন সবার জন্য সমান। কেউ যেন কাউকে বাধা না দেয়।
নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য কারও অস্ত্র লাইসেন্স করা থাকলে তা নিয়ে নিলে তো তাকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এখন আমরা তাকে নিরাপত্তা দেব না, নির্বাচনকে নিরাপত্তা দেব। লাইসেন্স করা অস্ত্র থাকলেও কেউ অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন যেন করতে না পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।