আসছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় বিদেশিরা দৌড়ঝাঁপ করলেও সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা চাপ অনুভব করবো কেন? যদি বলেন চাপ, তাহলে বলবো বিবেকের চাপ। বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপে সরকার কোনও চাপ অনুভব করছে না।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা সব সময় বলি, নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে বক্তব্য, আমরা যার সঙ্গে আলাপ করি, আমাদের অঙ্গীকার ও বক্তব্য একটি। এটি অত্যন্ত ক্লিয়ার। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা সবার সঙ্গে বলছি। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। দেশের জনগণের কাছে কমিটমেন্ট।”
বিএনপির অন্যতম দাবি-সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোনো কমপ্লেইন নিয়ে কথা বলিনি। তার কথা সে বলেছে। আমরা আমাদের কথা বলেছি। মার্কিন অ্যাম্বাসেডর কোথাও তার কথায় কেয়ারটেকার সরকার, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এ ধরনের কোনো কথা বলেনি। কথা হয়েছে- ফ্রি, ফেয়ার ও পিসফুল নির্বাচন নিয়ে।”
এসময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “ মার্কিনীদের পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়নি। সংলাপের বিষয়েও কোনো কথা হয়নি। তবে শেখ হাসিনার অধীনে দেশে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সোয়া ১১টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অষ্টম তলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের মধ্যে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন-দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত। অন্যদিকে,মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।