ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়িতে ধাক্কা দেওয়া সেই যাত্রীবাহী বাসের চালক মোহাম্মদ নূরুদ্দিনকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব ১০–এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) তাপস কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনটি গাড়িকে ধাক্কা দেওয়া বেপারী পরিবহন বাসটির চালক মোহাম্মদ নূরুদ্দিন। এ ঘটনার পর তিনি পালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে যান। র্যাব ১০–এর সদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।
দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে আটক চালকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব বলছে, বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের (২৬) লাইসেন্স নবায়ন ছিল না এবং তিনি নেশা করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বাসচালকের বরাত দিয়ে জানান, বাসটি অনেকদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছিল। মেরামতের পর সেদিনই সড়কে নামানো হয়। বাসচালক প্রথম থেকেই বুঝতে পারেন ব্রেকে সমস্যা ছিল। মালিককে সেটা জানালে তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে যেতে বলেন।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে দাবি করেছেন চালক।
‘চালক নুর উদ্দিন স্বীকার করেছেন যে, তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তবে গতকাল বাস চালানোর সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন’, বলেন এই র্যাব কর্মকর্তা।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তাঁর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।