আগস্ট ২, ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহতের সব দায়ভার নিজের কাঁধে বহন করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে শাস্তি দেবেন, তা তিনি মাথা পেতে নেবেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে নাটোরে নিজ বাসভবনে জাতীয় শোক দিবস স্মরণে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পলক বলেন, “তরুণ প্রজন্মের কাছে যদি আমার কোনও ভুল হয়ে থাকে, আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনও সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
অশুভ চক্রান্তকারীরা সন্ত্রাস এবং হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “যেভাবেই হোক ছাত্রছাত্রী ও কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে আমাদের যে দূরত্ব এবং ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সেটা আমাদের ঘর, প্রতিবেশী এবং প্রতিষ্ঠান থেকে করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের চোখের ভাষা বুঝতে হবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, কখনও তাদের প্রতি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই সেটার সমাধান করতে হবে। আমরা তাদের প্রতি কঠোর শাসনের পথ বেছে না নিয়ে তাদের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে স্নেহ-মমতা নিয়ে বসে কথা শুনলে আমার বিশ্বাস, অবশ্যই এই ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে। এতে ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত সফল হবে না।”