গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজর নামাজের পর পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলার আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
তাবলীগ জামাত আয়োজিত মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই জমায়েতে তাৎক্ষণিকভাবে ওই বয়ান বাংলায় তরজমা করছেন এদেশের মাওলানা নুরুর রহমান।
শীত ও বৃষ্টিসহ নানা ভোগান্তি উপেক্ষা করে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকা। শুক্রবার ফজর নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হবে আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘মাওলানা আহমদ বাটলার বয়ানের পর সকাল ১০টায় তালিমী বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। তালিমী বয়ানের পরপরই দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজের প্রস্তুতি শুরু করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা ক্বারী জোবায়ের। জুমার নামাজের পর বয়ান করবেন জর্ডানের মাওলানা উমর খতিব, আছরের নামাজের পর বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের ও মাগরিবের পর ভারতের মাওলানা আহমদ লাট বয়ান করবেন।’
বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পরপরই ইজতেমা ময়দানে জড়ো হওয়া লাখ লাখ মুসল্লি বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যারা ইজতেমার মূল ময়দানে জায়গা না পেয়ে তুরাগ নদীর অপরপ্রান্তে কিংবা সড়কের পাশের ফুটপাতে অবস্থান নিয়েছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।
এরই মধ্যে ভারত পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, সৌদি আরব, কুয়েত, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে সহস্রাধিক মুসল্লি এসেছেন ইজতেমা ময়দানে।
ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ময়দানের ভেতরে ও বাইরে সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে গোয়েন্দা কর্মকর্তা। পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে র্যাব। ওয়াচ টাওয়ার থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ছয় মুসল্লির মৃত্যু
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আগত ছয় মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।
তারা হলেন- জামালপুরের পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মো. মতিউর রহমান (৫৫), নেত্রকোণার বুরিজুরি স্বল্ফ দুগিয়া এলাকার বাসিন্দা এখলাস মিয়া (৭০), ভোলার গোলি গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে মো. সাহালম (৬০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার সরাইল থানার ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জের জামান (৪০) ও নেত্রকোণার আব্দুস সাত্তার (৭০)।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান এ তথ্য জানান।