সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ০৭:০৭ এএম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, “শেখ হাসিনার বিচারের ফরমাল তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। তবে শুধু শেখ হাসিনা নয় এই গণহত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত ছিল সবার বিরুদ্ধেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ট্রাইব্যুনালে যোগ দিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, “জুলাই মাসে যেই গণহত্যা হয়েছে এর প্রমাণ বিভিন্নভাবে ধ্বংস করা চেষ্টা করা হচ্ছে। এটিকে সংরক্ষণ করে আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসে মামলাগুলো প্রমাণের যেই কাজ সেটি এখন আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এসব প্রমাণাদি সংরক্ষণের মাধ্যমে গণহত্যা বিচার প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মাত্র দায়িত্ব নিয়েছে। খুব দ্রুত গণহত্যার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করবো। যেনো আলামত নষ্ট না হয় আর যারা সম্ভাব্য আসামি তারা যেনো আইনের বাহিরে চলে যেতে না পারে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে না পারে। কোর্ট বসলে শেখ হাসিনাসহ সম্ভাব্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবো।"
এদিকে সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে যোগ দেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ বাকি প্রসিকিউটররা।
এর আগে, ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া মো. মিজানুল ইসলামকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদায়, গাজী মোনাওয়ার হুসাইনকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদায়, বি এম সুলতান মাহমুদকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদায় এবং আব্দুল্লাহ আল নোমানকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদায় প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।