সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩, ০২:৪৮ পিএম
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ দেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে তরবারি উপহার দেওয়াকে নজিরবিহীন ঘটনা উল্লেখ করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ওলামা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, এর আগে প্রধান বিচারপতিকে সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। যেটা কল্পনাও করা যায় না। এ রকমটা এর আগে কখনও হয়নি।
রিজভী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সেই সময়ে ইরাকের রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন একটি অস্ত্র দিয়েছিল। যেটি তার বাসায় ছিল। এটার কারণে এরশাদের সাজা হয়েছিল। তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন। এই যে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান তরবারি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতিকে, এটা কোন আইনে দিলেন? আসলে ওরা দেশের প্রচলিত কোনো আইন-কানুন তোয়াক্কা করে না। এটা আমি আগেও বলেছি। তারা মনে করে শেখ হাসিনার কথাই আইন। যারা শেখ হাসিনার তল্পিবাহক করে, যারা শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করে, তারা যা কিছু করে এটাই হচ্ছে বৈধ। পৃথিবীতে কোনো দৃষ্টান্ত আছে এই ধরনের ঘটনা, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান যিনি দেশের প্রধান বিচারপতিকে তরবারি দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি যিনি থাকেন ন্যায়বিচার করার জন্য নীরবে নিভৃতে কেউ যাতে তাকে পক্ষপাতিত্বের দিকে না নিতে পারেন সেটাই হচ্ছে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত। এত বড় অন্যায় করলেন এর সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সর্বনিম্ন সাজা হবে ৭ বছর জেল, এরশাদ তার উদাহরণ।
তিনি বলেন, এখন ডিসি-এসপিরা নৌকার পক্ষে ভোট চায়। তারা কাউকে পছন্দ করতে পারেন, ভোট দিতে পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে কোনো দলের পক্ষে ভোট চাইতে পারেন না। কারণ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে ডিসি, তাহলে কীভাবে একজন ডিসি নৌকার পক্ষ ভোট চায়? এতে বোঝা যায় শেখ হাসিনার আগামী নির্বাচন কত এক তরফা ও গণবিরোধী হবে, তার নমুনা এখনই ফুটে উঠেছে।
এ সময় ওলামার দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, মাওলানা কাজী সেলিম রেজা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা কাজী আলমগীর হোসেন, মাওলানা কাজী আবুল হোসেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম, মাওলানা মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।