বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে সকাল থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।
এলাকাবাসী বলছেন, গোলাগুলির শব্দ আর ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন না তারা। এখন তারা ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ে।
গতকাল সারাদিন ভয়-আতঙ্ক এবং উত্তেজনা ছিল সীমান্ত এলাকায়। সকালেও গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে অনবরত গোলাগুলির শব্দ। অন্যদিকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে।
এদিকে, সীমান্তে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বান্দরবানের ঘুমধুমে ১৩৭ জন নারী-পুরুষ একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব নারী-পুরুষ বাড়িঘর ছেড়ে স্কুল ভবনে জড়ো হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে খাবার, পানিসহ অন্যান্য বিষয়গুলো তদারকি করা হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জলপাইতলী, ফকিরাঘোনা এলাকা থেকে ২৮টি পরিবারের ১৩৭ জন নারী-পুরুষ আশ্রয় নিয়েছে। জীবন বাঁচাতে জড়ো হওয়া এসব মানুষের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।