ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকার ১১টি স্থানে ৩৩ হাজার কেভি লাইনের ওপর গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। ফলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) ও পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক বিপাকে পড়েন। চারদিন থেকে বিদ্যুৎবঞ্চিত এসব এলাকার মানুষ।
বুধবার (২৯ মে) সকালে কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলেও ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলমসহ (৭০) ওই এলাকার দুই শতাধিক পরিবার এখনও বিদ্যুৎ পাননি। এ কারণে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে ঝালকাঠি ওজোপাডিকো অফিসে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম প্রকৌশলীকে বলেন, “আপনার দায়িত্ব কি ঘুষ খাওয়া, ঘুষ খাওয়ার জন্য কি দেশ স্বাধীন করেছি।”
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে প্রকৌশলীকে হুঁশিয়ারি করে চলে যান মুক্তিযোদ্ধা।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি ওজোপাডিকোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালাম বলেন, “ঝড়ে পৌর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গাছপালা এবং বিদ্যুৎ খুঁটি উপড়ে পড়েছে। যে কারণে শ্রমিক ভাড়া করেও সব স্থানে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিগগিরই পুরো কাজ সম্পন্ন করে সব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।”