ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন পালন করতে কেক নিয়ে হাজির হয়েছেন বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের নেত্রী এবং নায়িকা ও মডেল মিষ্টি সুবাস।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টিএসসিতে ‘৭৮তম শুভ জন্মদিন শেখ হাসিনা’ লেখা একটি কেক নিয়ে উপস্থিত হন তিনি।
নায়িকা মিষ্টি সুবাস বলেন, আমার নেত্রীর নাম জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমি আমার নেত্রীর জন্মদিনের কেক কাটার জন্য টিএসসিতে এসেছি। কারণ এই জায়গাতে গতকাল ওনাকে অসম্মান করা হয়েছে। যেখানে ওনাকে অসম্মান করা হয়েছে আমি সেখানে তাকে সম্মান জানাতে এসেছি।
গতকাল কেক কেটেছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গতকাল বাসায় কেক কেটেছি। আমার নেত্রীর জন্মদিন একমাসব্যাপী হবে।
মডেল-অভিনেত্রী মিষ্টি সুবাস বলেন, যারা বলেছে আমার নেত্রী দুর্নীতি করেছে আমি তাদের বলতে চাই সেটা আসলে দুর্নীতি না, সেটা হলো ভালোবাসা। শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য। তিনি অনেক কিছু করেছেন যা বলে শেষ হবে না।
মিষ্টি সুবাস বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি আমার নেত্রী পালিয়ে যায়নি, তাকে ষড়যন্ত্র করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে ষড়যন্ত্র করে দেশ ছাড়া করা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘আমাকে মেরে ফেললে এখানেই মেরে ফেলুন। আমি বাংলার মাটি ছেড়ে কোথাও যাবো না।’
ভিডিওতে দেখা যায়,নায়িকা ও মডেল মিষ্টি সুবাস সেখানে পথশিশুদের কেক দিতে গেলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করে ও নানাধরণের শ্লোগান দেয় এবং নানা ভাবে তারা উত্যক্ত করে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মিষ্টি সুবাস বলেন, আমি কেক কেটে আলোচনায় আসতে চাই না। আমি আমার নেত্রীকে ভালোবাসি।
ইতিমধ্যে ঘটনাটি ঘিরে বেশ চর্চা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরণের মন্তব্য করছেন বিভিন্ন জন ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, অনেকেই “কাদের হাতে দেশ” বলে আশংকা প্রকাশ করে এই খন্ডিত ভিডিও শেয়ার করছেন বলে, এই পোস্টটা দিতে হলো।
১. দেশ পথশিশুদের হাতে নয় এটা নিশ্চিত।
২. কেক খাওয়ানোর মতো মহান উদ্যোগের পরেও উত্যক্তকরণের নিন্দা জানাই।
রুমানা আফরোজ ন্যান্সি নামে একজন অনলাইন একটিভিস্ট লিখেছেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২.০ সংস্কার কাজ চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য মোটেও দুঃখিত না।