সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, “বিগত সরকারের সময়ে নখদন্তহীন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন উপহার দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই রকম নখদন্তহীন ও মেরুদণ্ডহীন মানবাধিকার কমিশন চাই না।”
শনিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ–২০২৫’ নিয়ে আয়োজিত আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ২০০৯ সালে ফখরউদ্দিন সরকারের সময়ে মানবাধিকার কমিশনের আইনের খসড়া প্রণয়ন হয় এবং পরবর্তী সরকার সেটি অনুমোদন দেয়। ওই আইনের ভিত্তিতেই কমিশন গঠন ও চেয়ারম্যান নিয়োগ হয়। ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর কমিশন বাতিল করা হয় এবং প্রায় এক বছর ধরে বাংলাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নেই।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিগত সময়ে কমিশন থাকার পরও দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে। নতুন খসড়া আইনে কী পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় বলেন, “আমরা এমন মানবাধিকার কমিশন চাই, যারা কার্যকরভাবে মানবাধিকার রক্ষা করবে। নখদন্তহীন কমিশনের মাথায় মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ বসালে হবে না। সরকারের সঙ্গে সাহস করে কথা বলতে ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে কাজ করতে পারে—এমন সৎ, নীতিবান ও সাহসী মানুষকেই কমিশনে নিয়োগ দিতে হবে।”
আলোচনায় অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, “মানবাধিকার ইস্যুতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে আগের কমিশন তেমন কাজ করতে পারেনি। খসড়া আইনেও এ বিষয়টি উপেক্ষিত মনে হয়েছে।” তিনি দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান বাদ দেওয়ার কারণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এছাড়া কোনো আমলাকে কমিশনে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত কি না, সে বিষয়েও পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।