শিক্ষকদের বেতনের বৈষম্য দূর করতে শিক্ষাখাতে ব্যয় বাড়ানো জরুরি : আবু সাঈদ খান

বাসস

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম

শিক্ষকদের বেতনের বৈষম্য দূর করতে শিক্ষাখাতে ব্যয় বাড়ানো জরুরি : আবু সাঈদ খান

ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক সমকাল পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেছেন- শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ও শিক্ষাখাতে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ‍‍`ত্রয়োদশ জাতীয় সম্মেলন, ২০২৫‍‍` এ প্রধান অতিথি বক্তব্যে আজ তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিবেচনায় শিক্ষাখাতে ব্যয়ের দিক থেকে আমরা পিছিয়ে আছি, তবে এটি অতিক্রম করা দুরূহ ব্যাপার নয়। যদি মোট ব্যয়ের ২০ ভাগ এই খাতের জন্য বরাদ্দ করা যায় তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে, দূর হবে শিক্ষকদের বেতনের বৈষম্য। মনে রাখতে হবে, শিক্ষাখাত হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং জরুরী বিনিয়োগের খাত।

আবু সাঈদ বলেন, শিক্ষা ছাড়া একটি জাতি অন্ধকারে পড়ে থাকবে। সেই শিক্ষার রূপকার আমাদের শিক্ষকদের বেতনে বৈষম্য অত্যন্ত বড় একটি সামাজিক সমস্যা। যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশের সব শিক্ষকদের একক বেতন কাঠামো তৈরি করা হলে এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব হবে। শিক্ষাখাতে তথা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিনিয়োগ করলে তা হবে ভবিষ্যতের জন্য সব থেকে লাভজনক বিনিয়োগ।

তিনি বলেন, সবার জন্য অভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি একটি সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা চাই। দেশের সার্বিক কল্যাণে সমন্বিত, যুগোপযোগী ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার দরকার। পাশাপাশি চাকরির বাজারে ভবিষ্যতের কান্ডারি তথা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়োগের ক্ষেত্রে সবধরনের বৈষম্য দূর করে তাদের এ দেশকে সেবা করার সুযোগ গড়ে দিতে হবে।

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আয়োজিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে তাদেরকে কাজ করতে দিতে হবে যারা দেশকে নিয়ে ভাবেন ও দেশের ভবিষ্যৎকে নিয়ে ভাবেন। তাহলে, যারা আগামীর নেতৃত্বের মেধা ও মননের সৃজনশীলতার উৎকর্ষের জন্য কাজ করেন, সেই শিক্ষকদের লড়াই করে বাঁচতে হবে না।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারে এমন মানুষেরা আছেন যারা সবসময় কিভাবে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে ভেবেছেন। বিগত সময়ে যে শিক্ষাখাতসহ সব জায়গায় লুটপাটের যে একটি সংস্কৃতি ছিলো, তার কুফল ভোগ করছে জনগণ। কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ হলেও আশা রাখি, তারা এ সমস্যার সমাধান করবেন। আপনাদের ন্যায্য বেতন কাঠামো নিশ্চিত হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিটিএ’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওসার আহমেদ।

সম্মেলন সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের পাশাপশি পূর্ণাঙ্গ উৎসব ও চিকিৎসা ভাতা দাবি করেন উপস্থিত বক্তারা।

Link copied!